সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২টায় পুঠিয়া পি এন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার তৃতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল দশটায় দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুমের দ্বিতীয় জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। তৃতীয় জানাজা ১টায় বানেশ্বর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
পরে মরহুম নাদিম মোস্তফার মৃতদেহ রাজশাহী মহানগরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে বাদ যোহর চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক করব স্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। প্রিয় নেতা মরহুম নাদিম মোস্তফাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য জেলা ও উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দল, মত নির্বিশেষে নেতা-কর্মীরা জানাজায় হাজির হন। এ সময় প্রিয় নেতাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
জানাজার আগে তার স্মৃতিচারণ ও গভীর শোক প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ। তার জানাজায় অংশ নিয়ে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা।
এছাড়াও জানাজায় অংশ নেন বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার মন্ডল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মন্ডল, পৌরসভার মেয়র আল-মামুন খাঁন, সাবেক পৌর মেয়র আসাদুল হক আসাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক একরামুল হক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক নেফাউর রহমান সুমন প্রমুখ।
জানাজায় পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক ও রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান-উল-হক মাসুদ, ভাল্লুকগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ কবির মাসুম
এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রীড়া সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাসহ হাজারো জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকার গুলশানের বাসায় রবিবার বেলা ১২টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এর পর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয় নাদিম মোস্তফাক । বেলা ১২টা ১০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।